জলবন্দি প্রার্থনা
সবুজের পাল, হাওরের জিহ্বায়
আমি জলবন্দি, ভাষাহীন এক যাত্রী
ভাসছি সময়ের ত্রিমাত্রিক স্বপ্নে—
আলো নয়, ছায়ায় মুখর
আমার নিঃশব্দ প্রেম
গ্রামছেঁড়া,
পৃথিবীর পরিত্যক্ত মানচিত্রে
এ এক ক্ষণজন্মা চেতনার ঢেউ—
আশ্রয় কেবল
ভেসে থাকা ও বিকেলভাজা বিস্মরণ
যেখানে ডুব মানে
শাপলা-ঢেউয়ের ঘর,
আর স্মৃতিরা কবিতা—
পানকৌড়ির গলায় গাঁথা দুর্বিনের গান...।
ছবিতে নেই, ঢেউয়ের কবিতায় মা
আমার মা ভীষণ লাজুক—
ছবি তুলতে গেলেই তিনি নীচু করে দেন চালকুমড়োর ছায়া।
পাথারের জল ফুঁড়ে যায়, তবু তাঁর মুখ নয়
জেগে থাকে মাটির হাঁড়ির নিচে নীরব আলো।
কবিতায় তিনি হাঁটেন—
আলুপাতার নিচে ঘুমিয়ে থাকা ব্যথার মতো নিঃশব্দে।
চোখে তাঁর কচি বৃষ্টির ছায়া—
যা দেখে সন্ধ্যা ভুলে যায় তার পাখির ডাক।
রান্নার হাঁড়িতে ফুটে ওঠে পুরনো নাম,
মা তা ঢেকে দেন ধোঁয়ার ঢেউয়ে
যেন কোনো কাব্যিক ষড়যন্ত্র।
মা সেই অনুপস্থিত চিত্র,
যাকে ভাষাহীন ভালোবাসায় চিরকাল আঁকা যায়...।
জীবনের সাতকাহন: একটি জ্যামিতিক সংলাপ
১⟶
ভাঙা ঢেউ
: সুরের ছায়াশরীর
২⟶
নোনা মেঘ
: স্মৃতি মুছে লেখা প্রেম
৩⟶
তুমি / তুমি নও
: দ্বিধার প্রতিচ্ছবি
৪⟶
আলো কাঁপে
: নিঃশব্দ অভিমান
৫⟶
জোৎস্না ≠ ভাষা
: শব্দহীন লিরিক
৬⟶
…
: শেষ কবিতা
= নিঃশ্বাস
৭⟶
স্বপ্ন + বাস্তবতা
= জীবনের প্রতিচ্ছবি
∴
স্বপ্ন-বাস্তবতার মিশেলেই
জীবন এক উজানী নদী...
লেখাটি শেয়ার করুন