আমাকে ভেঙে গুড়িয়ে দাও নিদারুণ আঘাতে!
শুরু করো প্রথমে এই দুটি পা থেকে
যেই পা পৌঁছাতে পারেনি দুঃসময়ে কখনও নিপীড়িত মানুষের দুয়ারে;
লাথি মারতে ভয় পেয়েছে যে পা আপাদমস্তক অমানবিক সিস্টেমে!
অথচ নির্দ্বিধায় হেঁটে বেড়িয়েছে এখান থেকে ওখানে
মসজিদে-মন্দিরে ; সিনেমা হল-ব্রোথেলে; মাঠে ও ময়দানে।
এবার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে নিশানা রাখো হাঁটুতে আমার।
একবারও জ্ঞানী ও বীরের সম্মুখে আনত হয়নি যে শ্রদ্ধায় মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে।
আমাকে ভেঙে গুড়িয়ে দাও ঝুঁকিপূর্ণ কোনো ভবনের মতো।
দুর্বার বেগে মাটিতে মিশিয়ে দাও আমার বুক ও পাঁজর
যেখানে শত সহস্রাধিক মানুষকে আমি দিইনি ঠাঁই—
যাঁরা অনাহারে মরে যায়; আরও মরে গোলা বারুদের আঘাতে।
তারপর বেঁধে ফেলো আমার অকেজো এ দুহাত।
যে হাত উঁচিয়ে ওঠেনি দাবি আদায়ের মিছিলে
শক্তভাবে ধরেনি বন্দুক অথবা বিপ্লবী কলম কখনও
মুছিয়ে দেয়নি অশ্রু তুলে দেয়নি কারও মুখে খাবার ;
প্রেয়সীর খোপাতেও দেয়নি গুঁজে একটি ফুল!
আমাকে ভেঙে গুড়িয়ে ছড়িয়ে দাও বাংলার মাটিতে।
লকলকে জিহ্বাকে আঁটকে রাখে যে মুখ তাকে সেলাই করে দাও
যে মুখে উচ্চারিত হয়নি কখনো অধিকার আদায়ের কথা
চুপচাপ থেকেছে যে বারংবার অবিচার দেখেও।
সবশেষে উপড়ে ফেলো এ নির্বিকার নির্লজ্জ দুটিচোখ
সমস্তকিছু দেখেছে যে এখনও যাচ্ছে দেখে না জানি দেখবে আর কতকাল?
আমাকে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে নিদারুণ আঘাতে
ছড়িয়ে দাও বাংলার মা-মানুষ ও মাটিতে!
লেখাটি শেয়ার করুন